‘অ্যাভাটার ৩’ হতে পারে বছরের শেষ ব্লকবাস্টার

১৬ বছর পর আবারও বড় পর্দায় ফিরছে জেমস ক্যামেরনের কিংবদন্তি ‘অ্যাভাটার’ ফ্র্যাঞ্চাইজি। বহুল প্রতীক্ষিত তৃতীয় সিনেমা ‘Avatar: Fire and Ash’ এই মাসেই বিশ্বব্যাপী মুক্তি পাচ্ছে। আশা করা হচ্ছে, আগের দুই ছবির মতোই এবারও দর্শকদের মুগ্ধ করবে অসাধারণ ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট, প্রকৃতি-নির্ভর গল্প এবং প্রযুক্তির অনন্য ব্যবহার। প্যারিস থেকে এএফপি জানিয়েছে, ছবিটি ইতোমধ্যেই গ্লোবাল প্রিমিয়ারে ইতিবাচক সাড়া পেয়েছে।

মুক্তির তারিখ

‘অ্যাভাটার: ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’ মুক্তি পাবে ১৭ ডিসেম্বর, বিশ্বের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে একযোগে।

অ্যাভাটার সিরিজের গৌরবময় সাফল্য
  • ২০০৯ সালে মুক্তি পাওয়া প্রথম Avatar সিনেমা বিশ্বব্যাপী ২.৯ বিলিয়ন ডলার আয় করে ইতিহাসে নাম লিখিয়েছিল।
  • ২০২২ সালে দ্বিতীয় ছবি Avatar: The Way of Water পোস্ট-প্যানডেমিক সময়েও প্রায় ২.৩ বিলিয়ন ডলার আয় করে।

তৃতীয় সিনেমাকে ঘিরে তাই প্রত্যাশাও আকাশছোঁয়া।

‘অ্যাভাটার ৩’-এর গল্প: পরিবার, অভিবাসন ও পরিচয়ের খোঁজ

এই কিস্তিতে জ্যাক (স্যাম ওয়ার্থিংটন) এখন প্যান্ডোরার কিংবদন্তি টোরুক ম্যাকটো। স্ত্রী নেটিরি (জো সালদানা) এবং সন্তানদের নিয়ে তারা নতুন করে জীবনের অর্থ খুঁজে পেতে চাইছেন, বড় ছেলে নেটেয়ামের মৃত্যুর শোক সামলে।

পরিবারের নতুন সদস্যরা
  • কিরি – দত্তক নেওয়া নাভি কিশোরী (সিগারনি উইভার)
  • স্পাইডার – মানব কিশোর (জ্যাক চ্যাম্পিয়ন), যাকে নেটিরি ছাড়া সবাই পরিবারের অংশ মনে করে

জেমস ক্যামেরনের মতে, এই গল্পে অভিবাসী পরিবার, পরিচয়ের সংকট এবং নতুন পরিবেশে মানিয়ে নেওয়ার বাস্তব চিত্র ফুটে উঠবে।

নতুন প্রতিপক্ষ: অ্যাশ পিপল ও রহস্যময় নেতা ভ্যারাং

‘অ্যাভাটার ৩’-এ প্রথমবারের মতো দেখা যাবে মাংকওয়ান বা অ্যাশ পিপল—একটি নাভি উপজাতি যাদের ভূমি আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে ধ্বংস হয়েছে। বেঁচে থাকার জন্য তারা লুটপাটে বাধ্য হয়েছে। এই গোষ্ঠীর নেতা ভ্যারাং চরিত্রে অভিনয় করেছেন কিংবদন্তি চার্লি চ্যাপলিনের নাতনি উনা চ্যাপলিন। তিনি নাভিদের আরও গভীর, অন্ধকার ও জটিল দিক তুলে ধরেছেন—যা দর্শক আগে কখনো দেখেননি।

মানুষ বনাম প্রকৃতি: তুলকুন শিকার নিয়ে নতুন সংঘর্ষ

স্কাই পিপল বা RDA আবারও ফিরে এসেছে প্যান্ডোরার সম্পদ লুণ্ঠনের উদ্দেশ্যে। এবার তাদের লক্ষ্য বিশাল সামুদ্রিক প্রাণী তুলকুন—যাদের মস্তিষ্কে থাকা ‘অ্যামরিটা’ অত্যন্ত মূল্যবান। সিগারনি উইভারের ভাষায়— “এখানে দেখানো হয়েছে, কীভাবে কর্পোরেশনসমূহ প্রকৃতি ধ্বংস করে। এটি পৃথিবীর সঙ্গেই মিল খুঁজে পাওয়া যায়।”

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নয়—অভিনয়ই মূল শক্তি
যদিও বর্তমান সিনেমা জগতে AI ব্যবহার ব্যাপকভাবে বেড়েছে, ক্যামেরন জানান—
অ্যাভাটার সিরিজে কোনো জেনারেটিভ এআই ব্যবহার করা হয়নি। এখানে ব্যবহৃত হয়েছে তার বিখ্যাত পারফরম্যান্স ক্যাপচার টেকনিক, যাতে অভিনেতাদের বাস্তব অভিনয় নাভিদের রূপ নেয়।
সমালোচকদের প্রতিক্রিয়া

মুক্তির আগেই পাওয়া সীমিত প্রতিক্রিয়ায়—

  • ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট নিয়ে প্রশংসা তুঙ্গে
  • গল্প এবং আগের থিমের পুনরাবৃত্তি নিয়ে সামান্য সমালোচনা

জবাবে ক্যামেরনের রসিকতা—
“আমার পুরো জীবনে পাঁচটা ভালো আইডিয়া আছে। সেগুলোই বারবার ভিন্নভাবে দেখানোর চেষ্টা করি!”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *